ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

 ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট


ভিসা কিভাবে করতে হয়? অনেকেই দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য এই প্রশ্ন করে থাকে।

দেশের বাইরে বা অন্য যেকোন দেশে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে ভিসা করতে হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে ভিসা কিভাবে করতে হয়? সে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আপনি যদি ভিসা কিভাবে করতে হয়? না জেনে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ভিসা কিভাবে করতে হয়? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


পেজ সূচিপত্রঃ



ভিসা কিভাবে করতে হয়?


ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

ভিসা কিভাবে করতে হয়? সেটি জানার আগে আমাদেরকে জানতে হবে ভিসা বিষয়টি কি?

কোন দেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি পত্র হলো ভিসা।

ভিসা ছাড়া আপনি পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না।

তাই যারা অন্য কোন দেশে যেতে চায় সাধারণত তাদের ভিসা কিভাবে করতে হয়? এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিৎ।


আপনি যদি এক দেশ থেকে অন্য যেকোন দেশে যেতে চান তাহলে আপনার পাসপোর্ট এর সাথে অবশ্যই ভিসার প্রয়োজন হবে।

ভিসা বিভিন্ন মেয়াদের হয়ে থাকে। আপনি কি ধরণের কাজের জন্য অন্য দেশে যাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে ভিসার মেয়াদ করে নিতে পারবেন।


যেকোনো ব্যক্তি চাইলে ভিসা আবেদন করতে পারবেন না। ভিসা আবেদন করার জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন এবং কিছু শর্তাবলী রয়েছে যেগুলো পালন করে নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।

তার আগে আপনি কোন কাজের জন্য অন্য দেশে যেতে চান সে দেশটি নির্বাচন করে আপনি যে ক্যাটাগরির ভিসা করতে চান তা নির্ধারণ করতে হবে। কারণ ভিসা বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে।

নিচে ভিসার প্রকারভেদ গুলো উল্লেখ করা হলোঃ

  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • মেডিকেল ভিসা
  • ভ্রমণ ভিসা
  • কাজের ভিসা
  • এক্সচেঞ্জ ভিজিট ভিসা
  • ব্যবসায়ী ভিসা
  • গৃহ কর্মী ভিসা
  • ট্রান্সিট ভিসা
  • ক্রিউ ভিসা
ভিসা করার জন্যে আপনাকে ভিসার আবেদন করতে হবে। তার জন্য আপনারা বাংলাদেশ এর সরকারি ভিসা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখান থেকে আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে গুগলে গিয়ে সার্চ করতে হবে Bangladesh visa লিখে গুগলে সার্চ করার পরে আপনি www.visa.gov.bd নামে ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।


ভিসা করতে কি কি লাগে?

ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

ভিসা কিভাবে করতে হয়? এ বিষয়টি জানার পর আমাদের ভিসা করতে কি কি লাগে? এই তথ্যগুলো জেনে নিতে হবে।

সাধারণত ভিসা করার জন্য আপনি যোগ্য কিনা? এ বিষয়ে ধারণা নেওয়ার পরে অবশ্যই ভিসা করতে কি কি লাগে তা জেনে নিন।

১। যে ব্যক্তি ভিসা নিতে চাই তার অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে ও পাসপোর্টে অবশ্যই ছয় মাসের বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।

২। আবেদনকারীর পাসপোর্টে ন্যূনতম তিনটা খালি পৃষ্ঠা অবশ্যই থাকতে হবে।

৩। ভিসার জন্য আবেদন পত্রে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং পাসপোর্টে এর নাম ভিসার আবেদনপত্রের নামের সাথে মিল থাকতে হবে।

৪। আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে মিল থাকতে হবে।

৫। ভিসার আবেদন পত্রটি পূরণ করার আট দিন শেষ হওয়ার পূর্বে আবেদন পত্রটি ভিসা সেন্টারের জমা দিতে হবে।

৬। আপনার অবশ্যই স্ক্যান করা ছবি থাকতে হবে।

৭। ভিসার আবেদন জমাদানকারী সেন্টার ও টাকা জমা দানকারী সেন্টারের নাম একই হতে হবে।

৮। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট যদি থেকে থাকে তাহলে মূল পাসপোর্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আর যদি কোন ভাবে হারিয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে জিডি কপি সংযুক্ত করতে হবে।

৯। আবেদনকারী ব্যক্তি কোন ধরনের কাজ করে তার বিবরণ সঠিকভাবে দিতে হবে।

১০। আবেদনকারীর জন্মের তারিখ জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদের সাথে মিল থাকতে হবে।

ভিসা করার জন্য সাধারণত আবেদন পত্রের সাথে এই ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এই ডকুমেন্টগুলো যদি থেকে থাকে তাহলে আপনি যে কোন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এখন আপনি লক্ষ করুন আপনার আবেদন করার জন্য উক্ত বিষয়গুলো রয়েছে কিনা। যদি আপনার উপরের ডকুমেন্টস এবং কাগজপত্রগুলো থেকে থাকে তাহলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।



ভিসার আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কী কী?

ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

আপনি যদি অন্য কোন দেশে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো ভিসা করে নেওয়া।

যদি আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কি? এ বিষয়গুলো জেনে ভিসা করে নিতে পারবেন।

ভিসার আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:-

  • আপনার পাসপোর্টের বৈধতা ছয় মাসের বেশি হতে হবে।
  • আপনার পাসপোর্টে সর্বনিম্ন তিনটি খালি পৃষ্ঠা অবশিষ্ট থাকতে হবে।
  • আবেদনপত্রে অবশ্যই আপনার স্ক্যান করা ছবি থাকতে হবে।
  • ভিসার জন্য আবেদন পত্রে পাসপোর্ট নম্বর সঠিকভাবে উল্লেখ করা থাকতে হবে।
  • মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ করা থাকতে হবে।
  • আবেদনপত্রে আবেদনকারীর নাম সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  • পেশার বিবরণ সাঠকভাবে পূরণ করতে হবে।
  • পূর্ববর্তী ভিসা ইস্যু করার বিবরণ খালি রাখা যাবে না।
  • আবেদনকারীর জন্মের তারিখ জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর এবং জাতীয় সনদপত্র নম্বর সঠিক রাখতে হবে।
  • ভিসার আবেদনপত্র পূরণ করার ৮ দিনের মধ্যে আবেদনপত্রটি ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।



ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে?

ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

ভিসা পেতে কতদিন লাগে? সাধারণত এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকে।

আর এই ভিসা পেতে কত সময় লাগবে এটা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশের ভিসা করছেন ও কোন ধরনের ভিসা করছেন এটার উপর।

আপনি যদি সিঙ্গাপুরে টুরিস্ট এর ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে ৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে ভিসা পেতে।

আবার কেউ যদি থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে তার পাঁচ থেকে সাত দিনের মতো সময় লাগতে পারে। এমনিভাবে আপনি যে দেশের জন্য ভিসা আবেদন করবেন ভিসার ধরন অনুযায়ী সময়ের পরিসীমা কমবেশি হতে পারে।


শেষ কথা

এই আর্টিকেলে ভিসা কিভাবে করতে হয়? ভিসা করতে কি কি লাগে? ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কি? ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন


Previous Post Next Post